১২ মে সুরাইয়া তারায় মহামারী বিনাশ নাকি আরো বড় বিপর্যয়? ইমাম-মুয়াজ্জিন গায়েব হচ্ছে শেষ সময়ে আসলে কারা
Published on Fri, Apr 24th 2020 News & Politics Rectangular HD
সুরাইয়া নামক তারকা নাকি ১২ই মে আকাশে উঠবে আর তখনই মহামারী থেকে মুক্তি!
আমি জানিনা আপনাদের ভিতরে হয়তো অনেকে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন তাই এরকম কিছু হয়েছে কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে এবং আমার কাছে মনে হয় যে অধিকাংশের কাছেই রমজানটি সবথেকে ভিন্ন একটি রমজান। তো যাই হোক আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তা হল যে ১২ই মে সুরাইয়া তারা এটি নাকি উঠবে এই নিয়ে কিন্তু দেখা গেছে যে অনেক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে এবং পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত আমেরিকাতে অবস্থানকারী মুফতি মুনির আহমেদ আকন উনার তরফ থেকে বাংলাদেশীয় কিছু ইউটিউবার্স উনারা পাবলিশ করেছেন যে এই সূরাটি উল্লেখ বা যেকোন মহামারী দূর হয়ে যাবে তো আজকে এটি নিয়ে আজকে আলোচনা করবো এটি নিয়ে এনালাইসিস করবো একই সাথে আরো কয়েকটি বিষয় থাকছে আজকের এই ভিডিওতে চলুন আমরা একে একে আলোচনাটি শুরু করি। দেখুন প্রথমেই আমি বলতে চাই যে আমার অডিয়েন্স আমাকে জানিয়েছে ভাই এটি নিয়ে বলেন সুরাইয়া তারা ১২ই মে যে তারাটি উঠবে নাকি এরকম যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা কি সত্যি কিনা বা এটি আসলে কি ? তখন আমি এটি নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম তখন বাংলাদেশি ইউটিউবারদের ভিডিও গুলো দেখলাম প্লাস পাকিস্তানি কিছু ইউটিউব চ্যানেল থেকে কিছু ভিডিও দেখলাম এবং মুফতি মুনির আহমেদ উনার নিজস্ব ভাষ্য দেখলাম তো এখান থেকে যে জিনিসটি বলতে পারি সেটি হল যে এটি আসলে ভালো হচ্ছে নাকি খারাপ হবে? প্রথম কথা হল যে এই তারকা নিয়ে যে ভাষ্যটি আছে এই ভাষ্যটি কিছুটা কন্ট্রাডিক্টরী কেন আমরা যদি একটি হাদীসে কুদসী দেখি তাহলে বুঝতে পারবো যে মহান আল্লাহ তাআলা বলছেন যে আজ সকালে এক ব্যক্তি কাফের হয়ে গেল আরেক ব্যক্তি ইমানদার হয়ে গেল কিভাবে হল দেখুন এক ব্যক্তি বলছে বৃষ্টি হয়েছে এবং সেইজন্য আজকে অমুক অমুক তারকার কারণে আজকে বৃষ্টি হয়েছে। সে কিন্তু তখন বড় একটা শিরক করল এবং সে কাফের হয়ে গেল আরেক ব্যক্তি বলেছে কি যে মহান আল্লাহ তা'লার ইচ্ছায় মহান আল্লাহ তা'আলার রহমতে আজকে বৃষ্টি হয়েছে সেই ব্যক্তি কিন্তু ঈমানদার হয়ে গেল। এটা কিন্তু আমাদের বোঝার জন্য একটা বড় একটা বিষয় কারণ হচ্ছে যে অনেকেই এই তারকাকে মনে করছেন যে মহামারী থেকে মুক্তির একটা বড় ধরনের হাতিয়ার।
এই বিশ্বাসটা কতটা গর্হিত কাজ একটু ভেবে দেখুন এই হাদীসে কুদসীর সাথে মিলিয়ে দেখুন। এরপরে আমি যাচ্ছি যে এই সুরাইয়া তারকা এটি বাইবেলে আছে ইভেন হিন্দুদের বিভিন্ন গ্রন্থে এটি আছে যেখানে এটিকে কার্তিকিয়া নামে ডাকা হয়। আর এটি নিয়ে বহু বছরের গ্রীক মিথলজি আছে যেখানে এটাকে কিন্তু একটা দেবতা হিসেবে মনে করা হয় এবং দেবতার সন্তান হিসেবে এবং এই যে একটা ক্লাস্টার এই সুরাইয়া তারকা কিন্তু একটা সিঙ্গেল তারকা না এটা একটা ক্লাস্টার ছয়টা থেকে সাতটা তারকার একটা সমন্বয় এবং এই তারকা গুলোকে বলা হয় ৬বোন বা ৭ বোন। তো এই গ্রিক মিথলজি তারা এই গুলোকে দেবতা হিসেবে মেনে আসছিল। এরপরে যে ইনফর্মেশন দিতে চাই সেটি হল এটা হল যে এই সুরাইয়া তারকা এটি যে ১২ই মে উঠবে কিনা সেই স্বপক্ষে মুফতি মনির আহমেদ এর কোনো জোরালো বক্তব্য নেই শুধু ওখানে বলেছেন যে যারা আকাশ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন উনাদের ভাষ্যমতে এটা আসলে কোন শক্ত দলিল না তবে যারা আসলেই এটা নিয়ে কাজ করে তারা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছেন যে ২৩রা এপ্রিল ২০২০ সালে অলরেডি এই তারকা উঠে গেছে আর নেক্সট আবার কবে উঠবে সেটারও তারিখ দেয়া হয়েছে সেটি হল ৪এপ্রিল ২০২৮ সালে। তো এখন এই সুরাইয়া তারকা কিন্তু প্রতি ৮ বছর পরপর ওঠে তাহলে আপনি প্রথমেই বুঝাতে পারছেন যে এইবার ১২ই মে এরকম কোন সুরাইয়া তারকাই উঠবে না। তাহলে কি হবে এটা অলরেডি উঠে গেছে ২৩রা এপ্রিল এখন কেউ যদি আশাহত হন তাহলে আমার কিছু করার নাই বাট আমাকে কিন্তু সত্যটা প্রকাশ করতে হবে এবং এর থেকে একটা ভালো দিক আছে আমি সেই জিনিস এই যাচ্ছি এবং এই তারকা কিন্তু আরেকটি নাম আছে সেটি হল প্লেডিস। আপনি যদি প্লেডিস লিখে সার্চ দেন তাহলে কিন্তু আপনি অনেক কিছুই পাবেন দেখেন স্পেলিংটা আমি বলছি Pleiades তো এটা নিয়ে কিন্তু অনেক অনেক বানোয়াট কাহিনী আছে এজন্য খুব সাবধান এখন বাংলাদেশীদের জন্য বা বাঙ্গালীদের জন্য আরও বেশি সাবধানতা কেন বলছি কারণ আমাদের এরকম জায়গায় ধর্মব্যবসায়ীর ও ধর্মান্ধদের অনেক আধিক্য রয়েছে এখন ধর্মব্যবসায়ী আর ধর্মান্ধ কারা ধর্মব্যবসায়ী হলো একশ্রেণীর প্রিচার যারা ইসলাম প্রচার করছেন বা ধর্ম প্রচার করছেন উনাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য এবং ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন যেটি কোরআনে আছে অন্যান্য গ্রন্থ আছে আর ধর্মান্ধ হচ্ছে কি ধর্মব্যবসায়ীদের কথা কোন বাছবিচার না করে যারা অন্ধ বিশ্বাস করছেন তারা হল ধর্মান্ধ এখন ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মান্ধদের জন্য কি সমস্যাটা হয় সমাজে সেটি আমি আপনাদেরকে দেখাচ্ছি দেখুন ঘটনাটা যখন স্টার্ট হল সারা ওয়ার্ল্ডওয়াইড তখনো বাংলাদেশ কিন্তু অনেক সময় পেয়েছিল আমি সবাইকে বলছি না যে সবাই ধর্মব্যবসায়ী কিছুসংখ্যক ধরেন ১০০ এর মধ্যে যদি প্রায় ৫% যদি ধর্মব্যবসায়ী থাকে তার থেকে কতটা ক্ষতি হচ্ছে দেখেন এরকম অনেক ধর্মব্যবসায়ী আছে যাদের প্রথম দিককার কিছু বক্তব্য শুনেছি যে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করা যাবে না এটি ছিল তাদের মূল স্ট্যান্ড মানুষ মরুক বা বাচুক সেটা না উনাদের বক্তব্য ছিল যে হচ্ছে মুসলিমদের কিছুই করবেনা এটা শুধুমাত্র অন্যান্য ধর্মাবলি মানুষদের শেষ করে দেবে।
যদিও রাসূল সা: ইসলামের বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পারি আসলে কোন মুসলিম হিন্দু অন্যান্য কোন ধর্ম বর্ণ এসব কিছুই মানে না সাহাবীদেরকে রাসুল সা: বলেছেন মহামারী থেকে বাঘ দেখলে যেভাবে পালাতে হয় সেভাবে পালাতে হবে। এখানে পার্থক্যটা দেখেন তাহলে রাসূল সা: তখন বলে দিতে পারতেন যে তোমাদের কিচ্ছু হবে না সাহাবীরা তোমরা অনেক স্ট্রং ঈমানের অধিকারী তোমরা যাও তোমরা একেবারে মহামারী এখানে যাও উনি কিন্তু সেটা বলেননি এবং বলবেনও না কারণ উনি ধর্ম ব্যবসায়ী ছিলেন না। আর ধর্মান্ধরা কি হয়েছে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেখেনি ধর্মব্যবসায়ী যারা বলেছিলেন এরকম কথা তারা আজকে কিন্তু নিজেদেরকে প্যাকেট করে ফেলেছেন।
YouTube influencers
List of Youtubers who commented this video.