কিতাবুল ফিতানে উল্লেখিত মধ্য রমজানে বিকট আওয়াজ হলে করনীয় সম্পর্কে ওই গ্রন্থ থেকেই এক্ষুণি জেনে নিন!
Published on Thu, Mar 26th 2020 People & Blogs Rectangular HD
রমজানে বিকট আওয়াজের ব্যাপারে অনেকেই কৌতূহলী, কিন্তু অনেকেই জানেন না যে সে সময় কি করতে হবে!
An explosion (we don't know exactly what it will be!) will happen in the middle of a month of Ramadan. What do you need to do if this happens? Well, I'm going to talk about this today.
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই সহিসালামতে ভালো আছেন আমাকেও তিনি ভালো রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। প্রিয় ভাই ও বোনেরা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা হলেও আমরা মানসিক শান্তিতে আছি কারণ প্রথম দিকটায় কিছু জোকারি পানা হলেও বর্তমানে কিন্তু সরকার খুব জোরেশোরেই পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এত অসচেতন বাঙালিরা এখন ঘরের ভেতর বন্ধ রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এভাবে যদি থাকা যায় ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা'আলা খুব দ্রুত আমাদেরকে এরকম একটা সংকটময় মুহূর্ত থেকে পরিত্রান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
তো যাই হোক আজকে আমি আপনাদেরকে জানাতে যাচ্ছি যে রমজানে যে বিকট আওয়াজ। এই আওয়াজ হলে আপনি কি করবেন? তো প্রথমে এখানে কিছু কথা বলে রাখি সেটি হল যে এই যে হাদীসটি আছে নুয়াইম বিন হাম্মাদের এই হাদীসটিকে অনেকেই বলছেন জাল। বাট আমার কথা হল যে দেখেন যে এই হাদিস একেক জন একেক ভাবে তাহকিত করেছেন। তো একেক জনের রেজাল্ট একেক রকক এসেছে। আরেকটা কথা হলো এইটা কোনো আমল কেন্দ্রীক হাদিস না। এই জন্য এটিকে আমরা যারা ভাবছি ঠিক আছে এটি জাল এরকম কিছু ঘটবে না ঠিক আছে আপনি জাস্ট এটা কুইট করেন। আর যাদের মধ্যে মনে হচ্ছে যে না এরকম কিছু হলে এরকম কিছু হলেও হতে পারে এর কারণ হলো সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যায় যে হাদীসটির গ্রহণযোগ্যতা আছে। তো বিভিন্ন ধরনের গ্রহাণু আসছে আবার দেখা যাচ্ছে কমেট আসছে এই যে জিনিসগুলো হচ্ছে সেটি থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে হ্যাঁ বিকট আওয়াজের ব্যাপারটা করতে পারে খুব অল্প সময়ের মধ্যে।
আরেকটি ব্যাপার আছে সেটি হল যে অনেকেই এই বিকট আওয়াজকে জিব্রাইল আ: সেই সাউন্ড এর সাথে মিলাতে চাচ্ছেন। না সেটি আরেকটি ঘটনা যখন ইমাম মাহাদী কে চিহ্নিত করা হবে তখন আকাশ থেকে একটি আওয়াজ আসবে সেটি হবে জিবরাঈল আ: এর আওয়াজ এবং সেটি এত বেশি তীব্র হবে না সেটি হবে মানুষকে জাস্ট মানুষকে জন্য। পরবর্তীতে আবার শয়তানের আওয়াজ আসবে জমিন থেকে তো এর সাথে এটিকে মেলালে হবেনা। তো যাই হোক যারা মনে করছেন এরকমটা ঘটলেও ঘটতে পারে তারা তারা আজকে এটি জেনে রাখুন যদি এরকম আওয়াজ হয় তাহলে আপনারা কি করবেন? কারণ আগেই এই জিনিসগুলো জেনে রাখা উচিত আমি হাদিস থেকেই আপনাদেরকে বলছি তো এই হাদীসটি আছে কিতাবুল ফিতানের ৬৩৮ নাম্বার আয়াতে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন যখন রমজান মাসে বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে শাওয়াল মাসে যুদ্ধের ঝংকার শুনবে জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে জিলহজ মাসে রক্তপাত হবে মহাররম মাসে বিভিন্ন ধরনের ঝগড়া-ফ্যাসাদ মারামারি চলতে থাকবে এই কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন।
তিনি বলেন আমরা বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ সা: যাহআহ কি জবাবে রাসুল সাঃ বললেন এটা অর্ধরমজান মাসের জুম্মার রাতে প্রকাশ পাবে। যার কারনে ঘুমন্ত ব্যাক্তিরা জাগ্রত হয়ে যাবে শুয়ে থাকা অবস্থায় লোকজন বসে যাবে কুমারি নারীগন পর্দার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে এটা হবে এক জুম্মার রাত্রিতে। এমন বছর যে বছরে অধিকহারে ভূমিকম্প হবে। সুতরাং তোমরা জুমার দিন নামাজ আদায়ের সাথে সাথে ঘরে প্রবেশ করে দরজা জানালা লাগিয়ে দিবে নিজেদেরকে চাদরাবৃত করলেও কানকে সজাগ রাখবে যখনই বিকট আওয়াজ শুনতে পাবে তখনই আল্লাহর দরবারে সেজদাবনত হয়ে যাবে এবং সুবহানাল কুদ্দুস সুবহানাল কুদ্দুস পড়তে থাকবে। তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা সবার আগে আমি এটির একটা ব্যাখ্যা দিয়ে নেই অনেকেই কোশ্চেন করেছিলেন কুমারি নারীগণ পর্দার ভেতর থেকে বাইরে আসবে এর মানেটা কি? তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা প্রথম কথা হচ্ছে যে দেখুন কুমারী নারীগণ মুমিন নারীগণ তো পর্দাতে থাকবে এটি হলো স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যাপার হল এই আওয়াজ টা এতটাই বিকট হবে যে তারাও চলে আসবে। পর্দার খেলাফ করতেও তাদের বাদবে না কারণ হল এমন একটা কি ঘটলো যে কি হলো না হল সেটি জানার জন্য প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে। এরপরে দেখেন যে আওয়াজটি হবে সেটি হবে জুমার রাত্রিতে।
তো এখানে আমি একটু ব্যাখ্যা দিয়ে নেই জুমার রাত্রি কোনটি সেটি আমরা অধিকাংশই বুঝতে পারি না। আমরা যারা বাংলাদেশি বা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছি আমরা এই দিনগুলোকে আমরা ভাবি যে জুমার রাত অর্থাৎ যেদিন আমরা জুমার নামাজ আদায় করছি অর্থাৎ শুক্রবারের রাত। কিন্তু না আমাদের বুঝতে হবে যে জুম্মার দিন কিন্তু শুরু হয় আগের রাত থেকে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মাগরিবের সময় থেকেই জুম্মার রাত শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই বিকট আওয়াজ মূলত শোনা যাবে আমরা যে দিন জুমার নামাজ পড়বো তার আগের দিন রাতে। তারমানে আপনি বৃহস্পতিবার রাতে এটার জন্য প্রস্তুত থাকবেন এবং এটি এমন এক বছরে হবে যখন খুব ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে। সুতরাং তোমরা জুম্মার দিন নামাজ আদায়ের সাথে সাথে ঘরে প্রবেশ করে দরজা জানালা লাগিয়ে দিবে। অর্থাৎ আপনাকে মাগরিবের সালাত আদায় করেই আপনার দরজা জানালা লাগিয়ে দিতে হবে। এরপরে নিজেকে চাদরাবৃত করলেও কান কে সজাগ রাখবে। দেখেন চাদরাবৃত করা এটা হল রাসূল সা: এর একটা অভ্যাস।
ওনাকে যখন প্রথম জিবরাঈল আ: জড়িয়ে ধরেছিলেন তখন তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন আবার তিনি যখন জিবরাঈল আ: কে নিজ চেহারায় দেখেছিলেন আসমানে তখনো এই ঘটনাটি ঘটেছিল তিনি খাদিজা রা: বলেছিলেন আমাকে চাদরাবৃত করো। রাসূল সা: একটা স্বভাব ছিল ভয় পেলে আতঙ্কগ্রস্ত হলে তিনি চাদরে আবৃত করতে বলতেন বা চাদরে আবৃত হতেন। এজন্য কিন্তু আমরা মুজাম্মিল সূরার ভিতর দেখি ইয়া আইহুয়াল মুজাম্মিল এখানে কিন্তু আল্লাহ তাআলা রাসূল সা: চাদরাবৃত এভাবে কিন্তু সম্বোধন করেছেন।
YouTube influencers
List of Youtubers who commented this video.