ভয়াবহ ৪ ঘটনা যা সত্যিই একটু খেয়াল করে দেখা উচিৎ! 4 Predictions
Ajouté le sam. 8 juin 2024 Actualités et politique Rectangular HD
ভয়াবহ ৪ ঘটনা যা সত্যিই একটু খেয়াল করে দেখা উচিৎ! 4 Predictions
বড় ধরনের একটা বিপর্যয়, সামনে সারা বিশ্বব্যাপী আসতে যাচ্ছে। এটা কি আপনারা আঁচ করতে পারছেন বা ধরতে পারছেন? কোথা থেকে এই রাইজ গুলো হচ্ছে, চলেন আমি সেই ব্যাপারটা আজকে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব।
দেখেন, একটা গ্রেট ডিস্ট্রাকশন হতে যাচ্ছে এবং ৪টা ফ্রন্টস অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে। এই ৪টা ফ্রন্টস যদি আমরা একসাথে রেখে বিশ্লেষণ করি, তাহলে বুঝতে পারব। এবং এটা যদি আমরা ট্রাক করি যে, আসলেই এটা কোথা থেকে কোথায় ঘনীভূত হচ্ছে, তাহলে বুঝতে পারবো পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে এবং অলরেডি কোন পর্যন্ত চলে আসছে।
নাম্বার ওয়ান, সেটা হচ্ছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। আপনারা দেখেছেন যে, ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে এটার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল হয়তোবা এটা হবে না। কিন্তু এর দুই এক বছর আগে থেকেই বলে দেয়া যাচ্ছিল যে, না ঘটনা সেই দিকেই যাচ্ছে। ইভেন ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, তার আগেও বলাবলি করেছি এবং ইভেন ঐদিন সকালেও অনেকে বলছেন যে, না এটা কখনোই হবে না। এটা জাস্ট একটা তাদের শক্তিমত্তার প্রদর্শন। কিন্তু ঘটে গেছে এবং সেটা এখন পর্যন্ত চলছে। অনেক অনেক ক্যাজুয়াল টিজ কিন্তু এর মধ্যে হয়েছে। চলছেই….
আচ্ছা এরপরে দেখেন, যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে ইসরাইল এবং প্যালেস্টাইন। এটা থেকে থেকে এবং গত ৭ই অক্টোবর থেকে যেটা শুরু হয়েছে, এটাও আর থামাথামি নেই। এটাও কিন্তু চলছে। এই বিষয়গুলো একটু দেখতে হবে যে, বর্তমান সময়ের যেসব যুদ্ধ, যা কিছু শুরু হচ্ছে, এগুলো কিন্তু আর থামছে না। এটা অনগোয়িং একটা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এরপরে চায়না এবং তাইওয়ান। এটা ওই ২০২২ সালের আগস্ট এর কিন্তু দুই তিন তারিখ, তৎকালীন সময়ের যে হাউস স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসি যখন তাইওয়ানে ভিজিট করে, তখন একটা মারাত্মক অবস্থা ছিল এবং তখনই মনে হচ্ছিল, পার্সোনালি আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে, এরপর একটা বড় ধরনের কনসিকোয়েন্স হয়ে যায় কিনা! যেহেতু, আসলে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেল ওই বছরেই। তবে না, তখন হয়নি কিন্তু তাইওয়ান এবং চায়নায় এটা কিন্তু আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই, ইভেন অনেকে বলাবলি করছে, ২০২৪ সাল শেষ হতে না হতেই নাকি এই কনফ্লিক্টাও বেঁধে যেতে পারে। কারণ চায়না সকল ধরনের প্রস্তুতি অলরেডি নিয়ে নিচ্ছে। এবং এখানে কন্ডাক্ট এর যে ব্যাপারটা ছিল, তারা সেইটার একটা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই চাহিদাটা যদি তারা ফিলাপ করে ফেলতে পারে, তাহলে আর তাইওয়ান কে সেই পরবর্তী সুযোগটা দিবেনা। ওকে?
সো এরপরে যে ব্যাপারটা আছে, সেটা হলো আফ্রিকান ন্যাশনস। এদের যে উত্থান, এটা সেই ২০১৮ সাল, ২০১৯ সাল থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। এবং রিসেন্টলি আপনার দেখেছেন যে, নাইজার থেকে বুর্কি নাফাসো, অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্রান্স চলে গেছে। ফ্রেন্স ট্রুপস সেখান থেকে উইথড্র করেছে। আঠারো মাসে তিন ধাপে তাদের যে উইথড্রল এর কথা ছিল, সেটা কিন্তু হয়ে গেছে।
এবং রিসেন্টলি আর একটা ব্যাপার ঘটেছে যে, আমেরিকার বিভিন্ন কন্ট্রাক্টরস এবং তাদের কিছু ট্রুপস আফ্রিকান বিভিন্ন দেশে থাকার কথা ছিল, সেটাও কিন্তু রিসেন্টলি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আগে একটা সময় ছিল যে, আমেরিকা কিছু হলেই বলতো যে, আমরা তোমাদের স্যাংশন দিব। এখন কিন্তু ওই স্যাংশনের ভয় আর কেউ পাচ্ছে না। তার মানে, আমেরিকার সেই যে একটা শক্তিমত্তা বা সারা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড যে একটা ডমিনেন্স, সেটা যে কমে গেছে বা কমে যাচ্ছে, এটা খুব সহজে আমরা বুঝতে পারছি। কারন তাদের স্যাংশনকে এখন আর কেউ, অনেক দেশ, অনেক আফ্রিকান কান্ট্রিজই কিন্তু এখন আর ওরকম ভাবে ভয় পাচ্ছে না। ইভেন চ্যালেঞ্জ করছে সেটাকে। যে ঠিক আছে, তোমরা স্যাংশন দিলে আমরাও তার বিপরীতে আর একটা কাজ করব। যেমন- রিসেন্টলি আফ্রিকান বিভিন্ন দেশ ইরানকে সাপোর্ট করছে। অনেকেই বলাবলি করছে যে, তাদের যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার জন্য যে ইউরেনিয়াম, তা পাঠাতে পারে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। সেই জন্য স্যাংশন দিতে পারে। এরকম যে ঘটনাগুলো আসলে ছিল, এখন কিন্তু আর আমেরিকাকে ছেড়ে কথা বলছে না তারা।
তো এখন আমি যে জিনিসটা বুঝতে পারছি সেটা হচ্ছে যে, আগামী পাঁচ বছর মোটামুটি, এই ওয়ার্ল্ডের যে ৪টা ফ্রন্টস তৈরি হয়েছে, এই ৪টা ফ্রন্টস কিন্তু আসলে একটার সাথে আরেকটা কানেক্টেড হবে।
কানেক্টেড হবে কিভাবে? দেখেন যে, মিডিল ইস্টে কিন্তু সব ঘুরে ফিরে যাচ্ছে। যেমন- ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন, তাদের ঘটনাটা মিডিল ইস্টেই। ওদিকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যে ঘটনাটা, ওটা একেবারে আপনার মিডিল ইস্টের কাছাকাছি। আর চায়না-তাইওয়ান এটা এদিকে। ওকে? আর আফ্রিকান ন্যাশনস এটা এদিক থেকে আসবে। তো এই সব কিছুই, একটার সাথে আরেকটা কানেক্টেড হয়ে যাবে।
আরো বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। সেই ব্যাপারগুলো আমি আপনাদেরকে আগামীতে দেখাবো। আপাতত একটু বলে রাখি যে, ধরেন, কোন একটা দেশে যাদের ট্রুপ্স ছিল, তারা কিন্তু এই ট্রুপ্সগুলো উঠিয়ে সরাসরি তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে না। যেমন- আমরা যদি বলি যে, আফগানিস্তান থেকে যখন আমেরিকান ট্রুপস উঠিয়ে নেওয়া হলো, সেগুলা কিন্তু প্রথম দিকে স্টেশন করা হয়েছিল এই মধ্যপ্রাচ্যের আশেপাশে। আবার এই একই রকম, আফ্রিকা থেকে যেসব ফ্রেন্স ট্রুপস উঠে যাচ্ছে, তারা কিন্তু সরাসরি দেশে যাবেনা। তাদের কিন্তু অন্যান্য আশেপাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিশন পরিচালনা করে, তারপরে হয়তোবা যেতে পারে বা ওখানে আলাদা একটা তাদের দায়িত্ব চলে আসতে পারে। তার মানে এটাই হচ্ছে ব্যাপার যে, কোন একটা বড়োসড়ো যে ট্রুপ্স দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে, সেই ট্রুপ্সগুলো কিন্তু ঘুরেফিরে অন্যান্য জায়গায় দায়িত্ব পালন করছে। ওকে?
তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা এই যে ৪টা ফ্রন্টস, এই ৪টা ফ্রন্টস এবং আমার মনে হয়, অনলাইন ভিত্তিক কাজকর্ম গুলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই করতে হবে। কারন তারপরে দেখা যাবে যে, হয়তোবা সারা বিশ্বব্যাপী যদি এতগুলো ফ্রন্টস, এতগুলো যদি যুদ্ধ বেধে-টেধে যায়, তাহলে তো আসলেই পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক থাকবে না। সেটা বোঝাই যায় খুব সহজে।
Influenceurs YouTube
La liste des youtubeurs qui ont commenté cette vidéo.